Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্য বাতায়নে আপনাকে স্বাগতম

উন্নয়নের বিভিন্ন সূচক


এক নজরে

সাধারণ তথ্য

 

জেলা

লক্ষ্মীপুর

উপজেলা

লক্ষ্মীপুর সদর

অবস্থান

বাংলাদেশের দক্ষিন পূর্ব উপকুলীয় অঞ্চল মেঘনা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা

ভৌগোলিক পরিচিতি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আয়তন-১৯৮.৪৬ বর্গমাইল/৫১৪.৭৮ বর্গমিটার/১,২৭,২১০ একর। অবস্থান : ২২৪৯' থেকে ২২৩৩' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০৪৩' থেকে ৯২০০' পূর্ব দাঘিমাংশ।

সীমানা

উত্তরে রায়পুর, রামগঞ্জ এবং চাটখিল উপজেলা, দক্ষিণে দৌলতখান, কমলনগর এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার, পূর্বে বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী উপজেলা, পশ্চিমে রায়পুর, মেহেন্দীগঞ্জ ও ভোলা সদর উপজেলা।

জেলা সদর হতে দূরত্ব

জেলা সদরে অবস্থিত।

আয়তন

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আয়তন-১৯৮.৪৬ বর্গমাইল/৫১৪.৭৮ বর্গমিটার/১,২৭,২১০ একর।

জনসংখ্যা

জনসংখ্যা-৮১৪৮১৩ জন প্রায় (২০২২ ইং সালের জনশুমারী অনুযায়ী)

পুরুষ-৩৮৩৭৩৫ জন

মহিলা-৪৩১০৭৮ জন

শিক্ষার হার

৫১.৯%

স্বাক্ষরতার হার

৭৫.৪৬%

মোট ভোটার সংখ্যা

৪,৭২,২৩০

নির্বাচনী এলাকা

লক্ষ্মীপুর  -৩ ও লক্ষ্মীপুর-২ (আংশিক)

গ্রাম

২৬৫টি 

মৌজা

২৩৮টি

ইউনিয়ন

২১টি

পৌরসভা

০১টি

কমিউনিটি ক্লিনিক

৭৬টি

মসজিদ

১২৫২ টি (প্রায়)

মন্দির

৪০টি (প্রায়)

নদ-নদী

০১টি

হাট-বাজার

৬২ টি

ব্যাংক শাখা

৫৪টি

পোস্ট অফিস

১০টি

টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

০১টি

ক্ষুদ্র কুটির শিল্প

০১টি

বৃহৎ শিল্প

০২টি

সিনেমা হল

০১টি

 

কৃষি সংক্রান্ত

মোট ফসলী জমির পরিমাণ

৫৭৭৩০ হেক্টর

এক ফসলী জমি

১৬১৯ হেক্টর

দুই ফসলী জমি

১৫৪৭২ হেক্টর

তিন ফসলী জমি

৮৩৮৯ হেক্টর

আউশ

৪১৩০ হেক্টর

আমন বোনা ও রোপা

৪০+২১৫৫০ হেক্টর

বোরো

১১২০০ হেক্টর

সেচকৃত জমির পরিমান

১১৫০০ হেক্টর

শক্তি চালিত পাম্প

১৯০৮টি

বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা

১৮ মে: টন

বীজ বিক্রয় কেন্দ্র

২১ টি (ইউনিয়ন পর্যায়)

সার বিতরন কেন্দ্র

২২ টি (ইউনিয়ন পর্যায়)

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :  মসজিদ ৭৩১, মন্দির ৩, গির্জা ১, দরগাহ ১, মাযার ৩, উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মজুপুর মটকা মসজিদ, তিতাখাঁ মসজিদ, সৈয়দপুর জামে মসজিদ, মধুবানু মসজিদ, শ্রী শ্রী গোবিন্দ মহাপ্রভু জিউ আখড়া, জোসেফ চার্চ, লক্ষ্মীনারায়ণ বৈষ্ণব মাঠ।

 

প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :  লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ (১৯৬৪), লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৮), গোপালপুর দ্বারিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০১), চৌপল্লী কে.ডি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৫), দত্তপাড়া রামরতন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১২), মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), দালাল বাজার এন.কে. উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), চৌপল্লী জয়তারা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮), গোপীনাথপুর চম্পকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (১৯৫৩), লক্ষ্মীপুর আলীয়া মাদ্রাসা (১৮৭২)।

 

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী : লক্ষ্মীপুর কন্ঠ (১৯৯৫), আল-চিশত (১৯৯৫), সাপ্তাহিক : নতুন সমাজ, নতুন দেশ (১৯৭৩), এলান (১৯৮২), নতুন পথ (১৯৮৭), দামামা (১৯৯২), মাসিক : লক্ষ্মীপুর বার্তা (১৯৮৯), অবলুপ্ত সাপ্তাহিক ও সাময়িকী : মুক্তিবাণী (১৯২৮), সাপ্তাহিক গণমুখ (১৯৭৩), চেতনা (১৯৬৯), সাপ্তাহিক আনন্দ আকাশ (১৯৯৫), প্রচ্ছদ (১৯৮৪), ছায়াপত্র, কবিতা বার্তা।

 

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান : লাইব্রেরি-৬, নাট্যদল-৩ সিনেমা হল-৩, সাংস্কৃতিক সংগঠন-১৫, মহিলা সংগঠন-৩৫, ক্লাব-২১।

 

দর্শনীয় স্থান : মজু চৌধুরীর হাট স্ল্যুইস গেইট-মেঘনা পাড়, সাহাপুরের সাহেব বাড়ী, দালাল বাজার জমিদার বাড়ী, কামান খোলা জমিদার বাড়ী, খোয়াসাগর দীঘি।

 

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস: কৃষি ৪২.৯২%, অকৃষি শ্রমিক ৩.১২%, শিল্প ১.০৪%, ব্যবসা ১৪.৩৪%, চাকরি ১৩.৪৬%, যোগাযোগ ও পরিবহণ ৪.৫০%, নির্মাণ ২.৪৯%, ধর্মীয় সেবা ০.৪৬%, রেন্ট এন্ড রেমিটেন্স ৪.৯৮% এবং অন্যান্য ১২.৬৯%।

 

কৃষি ভূমির মালিকানা : ভূমিমালিক ৬২.০০%, ভূমিহীন ৩৮%, শহরে ৫৫.৯৯% এবং গ্রামে ৬২.৭৭%, পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

 

প্রধান কৃষি ফসল : ধান, গম, সরিষা, আলু, চীনাবাদাম, সয়াবিন, শাকসবজি।

 

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি : পাট, তিল, তিসি, খেসারি, মসুর, অড়হর, মটর, ছোলা, পিঁয়াজ, রসুন।

 

প্রধান ফল-ফলাদি : নারিকেল, সুপারি, কলা, আম।

 

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস মুরগির খামার : গবাদিপশু , হাঁস-মুরগি , হ্যচারি।

 

যোগাযোগ বিশেষত্ব : পাকারাস্তা, আধা-পাকারাস্তা, কাঁচারাস্তা।

 

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন : পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।

 

শিল্প ও কলকারখানা : চালকল, আটাকল, বরফকল, স’মিল, তেলকল, এ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি, বেকারি, বিড়ি কারখানা, ছাপাখানা।

 

কুটিরশিল্প : লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, শীতল পাটি, নকশি কাঁথা।

 

হাটবাজার : লক্ষ্মীপুর বাজার, চন্দ্রগঞ্জ বাজার, দালাল বাজার, মান্দারী বাজার, ভবানীগঞ্জ বাজার, ফরাশগঞ্জ বাজার, জকসিন বাজার, পোদ্দার হাট, দাসের হাট এবং দালালপুর ঝুলনযাত্রা মেলা, দেওয়ান শাহ মেলা ও শ্যামপুর মেলা উল্লেখযোগ্য।

 

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য : সুপারি, নারিকেল, ইলিশ মাছ, বিড়ি।

 

বিদ্যুৎ ব্যবহার : এ উপজেলার সবকটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচীর আওতাধীন। তবে ৩০.৩০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

 

পানীয়জলের উৎস : নলকূপ ৮৫.১৩%, পুকুর ৬.৩৮%, ট্যাপ ৩.৫০% এবং অন্যান্য ৪.৯৯%।

 

স্যানিটেশন ব্যবস্থা : এ উপজেলার ৪৫.০১% পরিবার স্বাস্থ্যকর (গ্রামে ৪২.১৬% এবং শহরে ৬৭.৩৪%) এবং ৪৩.৭৩% (গ্রামে ৪৫.৯৪% এবং শহরে ২৬.৪৮%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ১১.২৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

 

স্বাস্থ্যকেন্দ্র : সদর হাসপাতাল ১, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৭, মাতৃসদন কেন্দ্র ২, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১৪, ক্লিনিক ১৩৫।

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ : ১৭২৬ সালের ভূমিকম্প, ১৮৭৬ সালের টর্নেডো, ১৮৭৬ ও ১০৫৪ সালের মহামারি কলেরা, ১৯৭০ সালের প্লাবন ও ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে এ উপজেলার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

 

এনজিও : ব্রাক, আশা, কেয়ার, হাঙ্গার প্রজেক্ট ইত্যাদি।

 

তথ্যসূত্র : বাংলাপিডিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় জ্ঞানকোষ, (খন্ড-১২)।

আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার